পুরানো শহর চিয়াং মাইয়ের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় মন্দিরগুলির বিপরীতে, ওয়াট উমং প্রাকৃতিক গাছপালায় ফুটে উঠছে 15 একর বন forest মঠটি সুপরিচিত দই সুথেপ পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত, একটি নিরিবিলি জায়গা যা মন্দিরটিকে অবিস্মরণীয় নির্মল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেয়। জনসমাগমের অভাব এবং সাধারণ শহর বিশৃঙ্খলা এটিকে দেখার পক্ষেও যথেষ্ট করে তোলে।
মূল মন্দির, একটি ধ্যান কেন্দ্র, আবাসিক সন্ন্যাসীদের জন্য একটি বাসস্থান এবং একটি হ্রদের মধ্যে মন্দিরের ভিত্তিগুলি বিভক্ত।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
Historicalতিহাসিক দলিল অনুসারে, ওয়াট উমং (মূলটির নাম ভেরুকত্তাথারাম), লিয়া কিংডমের নতুন রাজধানী শহর হিসাবে চিয়াং মাই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এক বছর পরে, 1297 সালে নির্মিত হয়েছিল।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
জনশ্রুতি রয়েছে যে সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজ্যের প্রথম রাজা রাজা ফায়া মঙ্গরাই থেরা জান নামে এক সন্ন্যাসীর জন্য মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন, যাকে তিনি খুব পছন্দ করেছিলেন।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
যেহেতু মন্দিরটি এত সমৃদ্ধ গাছপালা দ্বারা বেষ্টিত ছিল, তাই এটি আরণ্যবাসী-একটি বন মন্দির হিসাবে বিবেচিত হত। Evidenceতিহাসিক প্রমাণ এবং স্থাপত্য কাঠামোর ভিত্তিতে, ধ্যানের সুড়ঙ্গগুলি খ্রিস্টীয় 15 ও 16 তম শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত বলে অনুমান করা হয়
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
মন্দিরটি তার অদ্ভুত অভ্যন্তরীণ কাঠামো দ্বারা চিহ্নিত, যা বিভিন্ন টানেলের মধ্যে বিভক্ত। প্রতিটি সুড়ঙ্গের শেষে ফুল এবং অন্যান্য প্রতীকী অলঙ্কারযুক্ত বুদ্ধের একটি মূর্তি রয়েছে যেখানে দর্শকরা তাদের শ্রদ্ধা জানাতে হাঁটতে পারে। টানেলগুলি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা বাইরের শব্দগুলিকে হ্রাস করে, মন্দিরের মধ্যে প্রায় কোকুনের মতো নীরবতার শেল তৈরি করে।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
মন্দিরের অভ্যন্তরের দেওয়ালগুলি কিছুটা ভাঙ্গা হয়েছে তবে তাদের প্রাচীন চিত্রগুলি এবং চিত্রগুলির কিছু অস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে যা সম্ভবত বুদ্ধের গল্প চিত্রিত করে। পুরানো শহরের বেশিরভাগ মন্দিরের মতো নয়, যা সংস্কার করা হয়েছে এবং দৃশ্যমানভাবে ভালভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে, ওয়াট উমং এর সম্পর্কে একটি নিরবধি এবং খাঁটি মনোভাব রয়েছে। এর অবনতিমান কাঠামো এবং অতিগঠিত পরিবেশ দর্শকদের তার দীর্ঘ ইতিহাসের একটি কালি দেয়।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
সুড়ঙ্গ প্রবেশদ্বারের ডানদিকে বনের নিম্নস্তরের মধ্যে রয়েছে বুদ্ধের ভাঙা ও অদৃশ্য মূর্তির বিবিধ সংগ্রহ। এটি একটি কৌতূহলী "হারিয়ে গেছে এবং খুঁজে পেয়েছে" বিভাগটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, রহস্যময় পুরাতন ধ্বংসাবশেষগুলি ভরা যা অন্য সময় থেকে এসেছে বলে মনে হয়।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
মন্দিরের বাম দিকে একটি সিঁড়ি রয়েছে যা লান্ন-স্টাইলের এক বিশাল স্তূপ পর্যন্ত পৌঁছেছে। একটি স্তূপে traditionতিহ্যগতভাবে বৌদ্ধের পবিত্র নিদর্শনগুলি বা ধ্বংসাবশেষ রয়েছে, যখন এর প্রতীকী কাঠামোটি তাঁর আলোকিতকরণের প্রতিনিধিত্ব করে। সন্ন্যাসীরা নামাজ পড়ার সময় ঘড়ির কাঁটার দিকে স্টুপা ঘুরিয়ে দেবেন।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
হিতোপদেশ থাই এবং ইংরাজীতে লেখা ছোট কাঠের প্লেটগুলির গায়ে গাছে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এগুলি মন্দিরের মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, যা দর্শকদের বৌদ্ধ শিক্ষা এবং মূল্যবোধগুলির স্মরণ করিয়ে দেয়।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
মন্দিরের মাঠের প্রান্তে একটি ছোট্ট হ্রদ পাওয়া যায় এবং দর্শনার্থীরা একটি ছোট দ্বীপে পৌঁছতে একটি ছোট ব্রিজ পার হতে পারে। ব্রিজের দিকে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি ছোট্ট স্ট্যান্ড রয়েছে, হ্রদে মাছ এবং কচ্ছপগুলি খাওয়ার জন্য মাছের খাবার বিক্রি করছে। দর্শনার্থীরা অন্য পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে খাওয়ানোর আশায় কবুতরদের সৈন্যরা সেতুটি জনপ্রিয় করে তোলে।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
এর শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের কারণে ওয়াট উমং একটি খাঁটি ধ্যানের অভিজ্ঞতাটি সহজ করে দেয়। যারা ধ্যান অন্বেষণ করতে এবং প্রতিদিনের সন্ন্যাস জীবনের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে আগ্রহী তাদের জন্য একটি ধ্যান কেন্দ্রটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত, এটি মন্দিরের প্রবেশদ্বারের নিকটে অবস্থিত।
জিওইয়া এমিডি / © সংস্কৃতি ট্রিপ
